স্রোতের বিপরীতে আর কোন লিখা লিখব
না বলে প্রতিজ্ঞা করতে করতে প্রতিদিন ঘুমিয়ে পড়ি। কিন্তু পারি না সে প্রতিজ্ঞা রক্ষা
করতে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই সে প্রতিজ্ঞা ভুলে যাই। যখন চোখের সামনে স্রোতের বিপরীতের
কোন না কোন বিষয় ভেসে উঠে। ফলে সকল প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে আবারো সে বিষয়ে লিখতে চেষ্টা
করি। ফেসবুক অথবা ব্লগ পোষ্টের মাধ্যমে তা আবার জন সম্মূখে প্রকাশ করি। আর দুরু দুরু
বুকে অবলোকন করতে থাকি পাঠকের প্রতিক্রিয়া। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পাঠকের প্রতিক্রিয়া দেখে
অবাক হয়ে যাই।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ খ্রীষ্টাব্দে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে গৃহিত সমকামীদের মৃর্ত্যুদন্ড বিলোপ সংক্রান্ত প্রস্তাবের বিপক্ষে অর্থাৎ সমকামিদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পক্ষে বাংলাদেশ ভোট দেওয়ায় জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন! জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ এর মহাসচিব অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম সৈকত সমকামিদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পক্ষে বাংলাদেশ সরকারের ভোট দেয়ার মত এমন নেতিবাচক কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
গুমোট আর্তনাদ। হৃদয়ে জ্বলছে আগুন। সেই আগুনে প্রতিদিন পুড়ছি আমি। কী হতে চেয়েছিলাম। আর কি হয়ে গেলাম। সবই যেন চোখের ঝিলিক। জানেন, ছোট্ট বেলায় নাচে মুগ্ধ করতাম পাড়া প্রতিবেশী, স্কুল ও সহপাঠীদের। সবাই আমার নাচ থেকে হাত তালি দিতেন। প্রশংসা করতো। তাদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় আমি নৃত্যশিল্পী হওয়ার শপথ নেই। কিন্তু সেই শপথ আমার অঙ্কুরেই ভেঙে যায়।
সমকামী ব্যক্তি, তারা
আবার মানুষ নাকি?
কি পরিবার, কি সমাজ, কি রাষ্ট্র সবখানেই তারা অবাঞ্ছিত। পরিবার থেকেই শুরু হয়
সমকামী ব্যক্তিদের প্রতি নির্যাতন। যদি কখনো পরিবারের কোন সদস্য সমকামী বলে
চিহ্নিত হয় তবে তাকে বিষমকামী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শুরু হয় নিষ্ঠুর প্রক্রিয়া।
শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের সাথে সাথে
