|
Monday, April 11, 2011
BANGLADESH: Global Human Rights Defence (GHRD) Quarterly Human Rights Report (January – March 2011)
Saturday, March 12, 2011
News broadcusts on different chnnel regarding to publish Human Rights Report 2010:Minority in Bangladesh
Links of different TV news regarding Publishing "Human Rights Report 2010: Minorities in Bangladesh"
RTV
NTV
ETV
Diganto TV
Desh TV
Channel I
Boishakhi TV
Banglavision
ATN Bangla
Saturday, March 5, 2011
Tuesday, March 1, 2011
চেয়ারম্যানের অভিযোগ : প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পরও জনবল পায়নি মানবাধিকার কমিশন
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেছেন, চার মাস আগে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পরও জনবল পায়নি মানবাধিকার কমিশন। গতকাল সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে বিআইএইচআরের মানবাধিকারবিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
অনুষ্ঠানে বিআইএইচআরের নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট শাহানুর ইসলাম সৈকত বলেন, ২০১০ সালে ১ হাজার ৬৫৩টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ২০১১ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে একই ঘটনা ঘটেছে ২০০টি। গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্স ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান রাইটস যৌথভাবে এ তথ্য প্রকাশ করে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা শুধুমাত্র সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করি না। আমরা প্রত্যেকটি মানুষের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করি। সব ঘটনাকেই মানবাধিকার লঙ্ঘন বলা যাবে না। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যেসব ঘটনা ঘটে এবং যেসব ঘটনা ঘটার পর রাষ্ট্র নিষ্ক্রিয় থাকে সেগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন বলা যায়।
মিজানুর রহমান বলেন, আমরা বলছি না যে বর্তমানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে না। তবে আগের তুলনায় অনেক কমেছে এটি বলতে পারি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ২০১০ সালের জুন মাসে আমাকে দায়িত্ব দেয়ার পর অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী একটি ফাইলে সই করেছেন। যাতে মানবাধিকার কমিশনে ২৮ জন জনবল নিয়োগের অনুমতি থাকার পরও আমলাদের কারণে এখন পর্যন্ত জনবল পাইনি। তারপরও যারা জনবল নিয়োগে গড়িমসি করছেন সেসব আমলাদের বলতে চাই আপনারা জনবল না দিলেও যে ক'জন আছে তাদের নিয়েই মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে যাব।
বিআইএইচআরের রিপোর্টের সমালোচনা করে মিজানুর রহমান বলেন, এত দ্রুত বহির্বিশ্বে রিপোর্ট না পাঠিয়ে আপনারা আমাদের কাছে আসুন। আমরা যদি সমাধান দিতে পারি তাহলে কেন বিদেশিদের কাছে যাবেন। প্রকাশিত রিপোর্টটি একটি সাদামাটা রিপোর্ট বলেও তিনি মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে নির্যাতিত কয়েকজন ব্যক্তিও তাদের নির্যাতনের তথ্য তুলে ধরেন।
মূল প্রতিবেদনে এডভোকেট শাহানুর ইসলাম বলেন, ২০১০ সালে হিন্দু, আহমাদিয়া মুসলিম, দলিত, আদিবাসী ও পাহাড়ি সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের ওপর বার বার নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ভূমি দখল, উচ্ছেদ, ধর্ষণ ও মন্দিরে হামলা ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। পার্বত্য শান্তিচুক্তি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
তিনি বলেন, নারী নির্যাতন, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা ২০১০ সালে ধারাবাহিকভাবে হুমকির মুখোমুখি হয়েছেন। স্থানীয় ক্ষমতাশালী অপরাধী ও সরকার কর্তৃক মিথ্যা অভিযোগ ও অপরাধে জড়িতকরণসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়েছে। অনেক বাংলাদেশি সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী দেশে ফিরে আসলে নির্যাতিত হওয়ার ভয়ে নিজেদের নির্বাসিত করে রেখেছেন।
পুলিশের অবহেলার কথা উল্লেখ করে রিপোর্টে বলা হয়, দুর্নীতি, পুলিশের অবহেলা, দায় থেকে অব্যাহতি প্রদান ও ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে ন্যায়বিচার প্রাপ্তির সার্বিক অভাব ২০১০ সালে তথ্যানুসন্ধানকৃত সব ঘটনায় দেখা গেছে। তিনি বলেন, ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করায় রাজনৈতিকভাবে সংখ্যালঘু সমপ্রদায় বৃহৎ আকারে প্রতিনিধিত্ব করছে এবং এ বছরে নির্যাতন কিছুটা কমেছে। তিনি বলেন, যদি সরকার চূড়ান্তভাবে সবার জন্য মানবাধিকার নিশ্চিতকরণের জন্য তার প্রদত্ত ওয়াদা বাস্তবায়ন না করে তাহলে ২০১১ সালেও ২০১০ সালের মতো ঘটনা ঘটতে পারে।
আটকাবস্থায় নির্যাতন বন্ধে প্রজ্ঞাপন জারি করুন
আটকাবস্থায় রিমান্ডের নামে নির্যাতন বন্ধ করতে বিশেষ প্রজ্ঞাপন জারি করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।
গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বাংলাদেশ সংখ্যালঘু মানবাধিকার প্রতিবেদন ২০১০’ প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্স (জিএইচআরডি) এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান রাইটস (বিআইএইচআর) ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে মিজানুর রহমান বলেন, ‘আটকাবস্থায় নির্যাতন, মৃত্যু কাম্য নয়। এটি বন্ধে আইন দরকার নেই। শুধু একটি প্রজ্ঞাপন জারি করুন।’ যদি কেউ নির্যাতন করেন, সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা এবং তদন্তে দোষী হলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করে ওই প্রজ্ঞাপন জারির অনুরোধ জানান তিনি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা তুলনামূলকভাবে কমেছে উল্লেখ করে মিজানুর রহমান বলেন, ‘তবে আমরা চাই, এটি শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে।’ সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাও লক্ষণীয় মাত্রায় কমেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানের আয়োজকেরা জানান, ২০১০ সালে সারা দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের এক হাজার ৬৫০টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে তাঁরা ৭০টি ঘটনার তদন্ত করেছেন। তাঁরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এ প্রতিবেদন প্রকাশের কথা জানান।
আয়োজকদের এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রথমেই এটি না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘শুরুতেই বহির্বিশ্বের কাছে না গিয়ে আগে কমিশনকে বলুন। কমিশন কিছু করতে ব্যর্থ হলে বহির্বিশ্বে যান।’
অনুষ্ঠানে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইএইচআরের নির্বাহী পরিচালক শাহানূর ইসলাম। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিআইএইচআরের সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর, নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন জিএইচআরডির পরিদর্শক রবীন্দ্র ঘোষ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
Subscribe to:
Posts (Atom)