আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভোলা সদর উপজেলায় ট্রান্সজেন্ডারদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। উপজেলার বাংলাবাজার বটতলা এলাকায় সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন স্বর্ণা, রিদিলা, জারা, সুমনা, সাগরিকা, পাপড়ি ও শারমিন। বর্তমানে তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ফরহাদ সরদার।
ভোলা সদর উপজেলার ট্রান্সজেন্ডারদের সর্দার জুঁইয়ের বরাতে তিনি জানান, ঈদে টাকা কালেকশনের জন্য সদরের হিজড়াদের ৭ জনের একটি দল সন্ধ্যায় বাংলাবাজার এলাকায় যান। এ সময় পাশের দৌলতখান উপজেলার হিজড়া নেতা মোনার নেতৃত্বে সদরের হিজড়াদের ওপর অতর্কিত হামলা করা হয়। তাদের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজনও এ হামলা চালান।
এ সময় তাদের রড দিয়ে ব্যাপক মারধর করে ওই ৭ জনকে গুরুতর আহত করা হয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় জুঁই বলেন, ‘আমরা অসহায়। মানুষের কাছ থেকে পাঁচ-দশ টাকা চেয়ে নিয়ে দুইটা ডাল-ভাত খেয়ে জীবন চালাই। কিন্তু আমাদের ওপর এমন অত্যাচার চলতে থাকলে আমরা কিভাবে বাঁচব। কিছুদিন আগে হুমকি দিয়েছে, আজ মেরেছে, কালকে হয়তো মেরেই ফেলবে।
‘ওরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে, টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয় আর দোষ দেয় আমাদের। এভাবে যদি রাস্তা-ঘাটে আমাদের মারে, আমরা কোথায় যাব। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’আহত সাগরিকা বলেন, ‘আমরা তো মোনা হিজরার এলাকায় ঢুকে বা তার থেকে ঈদ বোনাসের টাকা উঠাইনি। সদর উপজেলার বর্ডারের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আমরা ঈদ উপলক্ষে টাকা তুলছিলাম। মোনার তো আমাদের মারার কথা না। এ হামলার কঠিন বিচার চাই।’
এ ঘটনা জানতে ট্রান্সজেন্ডার মোনার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। পরে তাকে এসএমএস করা হলেও তিনি এর কোনো উত্তর দেননি।
পুলিশ কর্মকর্তা ফরহাদ সরদার বলেন, ‘এ ঘটনায় ভোলা থানায় রাতেই একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইন সবার জন্য সমান, তিনি হিজড়া বা সাধারণ মানুষ যাই হোন না কেন।’
No comments:
Post a Comment