Friday, February 4, 2022

'চুক্তিতে' বদলি কারাবাস, আসামির আইনজীবী রিমান্ডে

চুক্তিতে একজনের বদলে আরেকজনের সাজা খাটার মামলায় প্রকৃত আসামির আইনজীবী শরীফ শাহরিয়ার সিরাজীকে জিজ্ঞাসাবাদে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার ঢাকার মহানগর হাকিম আরাফাতুল রাকিব এ আদেশ দেন। বদলি কারাবাসের এ ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় করা জালিয়াতির মামলায় গত বৃহস্পতিবার পুলিশ আইনজীবী শরীফকে আটক করে।


মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আবু সাঈদ চৌধুরী শুক্রবার ওই আইনজীবীকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানির পর আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই মামলায় এর আগে একটি হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত আসামি যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত মামাতো ভাই বড় সোহাগ এবং তার হয়ে চুক্তিতে টাকার বিনিময়ে যাবজ্জীবন কারাভোগকারী মো. হোসেনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।


প্রায় ১১ বছর আগে হত্যাসহ দুটি মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সোহাগকে (৩৪) র‌্যাব গত শনিবার রাজধানীর একটি হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে। গত রোববার র‌্যাব জানায়, তার পরিবর্তে তিন বছর ধরে সোহাগ সেজে কারাগারে রয়েছেন আরেকজন। কারাগারে যিনি রয়েছেন, তিনি সোহাগেরই ফুপাতো ভাই মো. হোসেন (৩৫)। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে তিনি মাসিক পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে কারাগারে রয়েছেন। তবে আসল সোহাগ তাকে বলেছিল, আত্মসমর্পণের মাত্র দুই-তিন মাসের মধ্যেই নকল সোহাগকে কারাগার থেকে বের করে আনা হবে।



২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর রাজধানীর কদমতলী এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয় হুমায়ুন কবিরকে। এ ঘটনায় ওই বছরই গ্রেপ্তার সোহাগ ২০১৪ সালে জামিনে গিয়ে পলাতক হয়। তিন বছর পর ছয় আসামির মধ্যে বড় সোহাগসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪। এ হত্যা মামলায় বড় সোহাগ ছাড়া মামুন (৩৩), ছোট সোহাগসহ (৩০) অজ্ঞাতপরিচয় আরও চারজনকে আসামি করা হয়।

সম্প্রতি সোহাগকে গ্রেপ্তারের পর গত মঙ্গলবার ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পেশকার মিজানুর রহমান ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে একজনের বদলে আরেকজনের কারাবাসের ঘটনায় ওই দু'জন (প্রকৃত অভিযুক্ত ও তার বদলে কারাগারে যাওয়া ব্যক্তি) এবং দুই আইনজীবীসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন।

বিচারক মোহাম্মদ নূরুল হুদা চৌধুরী আবেদনটি এজাহার হিসেবে গণ্য করতে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শককে (তদন্ত) নির্দেশ দেন।

এই চার আসামি হলেন- প্রকৃত সোহাগ ওরফে বড় সোহাগ, হোসেন (বড় সোহাগ নামে ভুয়া পরিচয়দানকারী), হত্যা মামলায় বড় সোহাগের জামিন আবেদনকারী ও ওকালতনামায় স্বাক্ষরকারী আইনজীবী শরীফ শাহরিয়ার সিরাজী এবং আরেক আইনজীবী মো. ইব্রাহীম হোসেন।

আইনজীবী শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আত্মসমর্পণ করা আসামি প্রকৃত আসামি নন জেনেও তাকে মিথ্যা ব্যক্তির মাধ্যমে প্রকৃত আসামি সাজিয়ে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নথি উপস্থাপনের দরখাস্ত, জামিনের দরখাস্ত ও ওকালতনামায় জাল দরখাস্ত দিয়ে তা সঠিক বলে দাবি করেন। প্রতারণার আশ্রয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করিয়ে একজনের সাজা অন্যজনকে দিয়ে খাটিয়ে তিনি আদালতের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

https://samakal.com/bangladesh/article/220295584/%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A7%80-%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%87
============================================================ Advocate Shahanur Islam | An Young, Ascendant, Dedicated Human Rights Defender, Lawyer and Blogger in Bangladesh, Fighting for Ensuring Human Rights, Rule of Law, Good Governance, Peace and Social Justice For the Victim of Torture, Extra Judicial Killing, Force Disappearance, Trafficking in Persons including Ethnic, Religious, Sexual and Social Minority People.

No comments:

Post a Comment