সমকামিতা করতে চাওয়ায় এক বন্ধু অপর বন্ধুকে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে দিয়েছে। গত ৩০ জুলাই রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের একটি বাড়িতে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে হত্যাকাণ্ডের এমন বর্ণনা দিয়েছেন। যদিও ওই দুই বন্ধুর অসম বয়স হলেও তাদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে সমকামিতার সম্পর্ক ছিল।
পুলিশ জানায়, আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আটক ঘাতক সাব্বির (২০) জানান, নিহত তরিকুল ইসলাম খোকন (৫৫) তার পূর্বপরিচিত ছিলেন। প্রায়ই তিনি নিহতের বাসায় আসা-যাওয়া করতেন। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সমকামিতার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ৩০ জুলাই রাতে অভিযুক্ত সাব্বির নিহতের বাসায় রাত্রীযাপন করেন। রাতে নিহত ওই ব্যক্তি অপ্রকৃতস্থ সমকামীর লালসা চরিতার্থ করার জন্য সাব্বিরের সঙ্গে জোরাজুরি করেন।
এতে সাব্বির ক্ষিপ্ত হয়ে শিল-পাটা দিয়ে খোকনের কপাল, নাক ও মুখে আঘাত করে থেঁতলে দেন। একপর্যায়ে ব্লেড দিয়ে নিহতের পেট কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর বাসার ড্রয়ার থেকে কাপড়-চোপড় ও প্লাস্টিকের জিনিসপত্র বের করে নিহতের শরীরে উপর রেখে আগুন ধরিয়ে দিয়ে দরজা বন্ধ করে চলে যান। যাওয়ার সময় ঘাতক সাব্বির নিহতের ২টি মোবাইল ফোন ও নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যান।
এরপর ১টি মোবাইল কামরাঙ্গীরচরে এক ব্যক্তির কাছে ৪ হাজার টাকায় বিক্রয় করে সিলেটে চলে যান। পরে ওই মোবাইল ফোনটিই ঘাতককে চিহ্নিত করতে সহায়তা করে। এরপর পুলিশ ঘাতককে ধরতে সিলেটে অভিযানে গেলে টের পেয়ে গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর চলে যান। পুলিশ সেখানেও হানা দিলে পালিয়ে ঢাকায় চলে আসেন।
এরপর ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় কামরাঙ্গীরচর থানার রসুলপুর এলাকা থেকে ঘাতক সাব্বিরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে নিহতের ব্যবহৃত ১টি মোবাইল ফোন, রক্তমাখা লুঙ্গি ও শার্ট উদ্ধার করে।
কামরাঙ্গীরচর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোস্তাফিজুর রহমান যুগান্তরকে জানান, চলতি বছরের ৩০ জুলাই রাতে কামরাঙ্গীরচরের কোম্পানীঘাট পশ্চিম রসুলপুরে মো. তরিকুল ইসলাম খোকনকে কে বা কাহারা হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য মৃতদেহে আগুন দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাইয়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৩১ জুলাই থানায় হত্যা মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিশ।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের কোনো ক্লু পাওয়া যাচ্ছিল না। তদন্তের একপর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে হত্যাকারী নিহতের মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা নিয়ে পালিয়েছে। এরপর তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত শরীয়তপুরের নড়িয়া থানার জাজিরা গ্রামের আব্দুস সামেদের ছেলে সাব্বিরকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বাড়িঘর নদীতে ভেঙে যাওয়ায় কামরাঙ্গীরচরে ভবঘুরে জীবনযাপন করে।
নিহত তরিকুল ইসলাম খোকন ফুটপাতে বাচ্চাদের খেলনা বিক্রি করতেন। তিনি বরিশালের বানারীপাড়া থানার উত্তর নাজিরপুর গ্রামের মৃত আ. রশীদের পুত্র। কামরাঙ্গীরচরের পশ্চিম রসুলপুর এলাকায় হাজী পারভীন জাহানের বাড়ির ৪র্থ তলায় ভাড়া থাকতেন। সেখানেই ঘটনা সংঘটিত হয় বলে জানান তিনি।
https://www.jugantor.com/capital/451052/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE?fbclid=IwAR0nCm-HmkxBjy4Pj-PQnp-lPa8UNCUMeP7dWnN0dNBIwAukfO8UoyMJKgQ============================================================ Advocate Shahanur Islam | An Young, Ascendant, Dedicated Human Rights Defender, Lawyer and Blogger in Bangladesh, Fighting for Ensuring Human Rights, Rule of Law, Good Governance, Peace and Social Justice For the Victim of Torture, Extra Judicial Killing, Force Disappearance, Trafficking in Persons including Ethnic, Religious, Sexual and Social Minority People.
No comments:
Post a Comment