ছেলে সেজে প্রেমের জালে মেয়েদেরকে ফাঁসিয়ে সমকামিতায় বাধ্য করা নাটোরের আলোচিত নারী রুপ ওরফে রুপাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নাটোর শহরের উপরবাজার এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) আব্দুল মতিন জানান, অভিযুক্ত রুপা তারই ছোট বোনের ননদ সাদিয়া ইসলাম মৌ-কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সমকামিতায় বাধ্য করে। গত ২১ আগস্ট মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে যায় রুপা। তিনদিন পর ২৪ আগস্ট মৌকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে আসে রুপা। ওই দিনই রুপার বাসায় রুপা ও মৌ দুজনকেই বিষ পান করা অবস্থায় উদ্ধার করে স্বজনরা। উভয়কেই নেওয়া হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে মারা যায় মৌ। সুস্থ হয়ে নিরুদ্দেশ হয় রুপা।
এ ঘটনায় মৌ-এর বাবা হত্যার অভিযোগ এনে সুফিয়া বেগম রুপাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, রুপাকে গ্রেফতারের পরই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, আলোচিত রুপা খাতুন চলাফেরা করতো পুরুষের পোশাক পরে। বাইরে থেকে নিজেকে পুরুষ বানিয়ে রাখতো সে। নিজেকে পরিচয় করাতো বিজিএমসির একজন কর্মকর্তা হিসাবে। রুপ নামে কিছু ভিডিও বানিয়ে টিকটকে আপলোড করে তরুণীদের মাঝে পেয়েছিল জনপ্রিয়তা। সেই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে তুলে রেখেছিল তাদের কিছু গোপন ছবি। রুপের গোপন খবর জেনে যাওয়ার পর তার সঙ্গ ত্যাগ করতে গিয়ে বিপদে পড়েছে বেশ কয়েকজন। টিকটকে এসব গোপন ছবি ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে রুপা তাদের বাধ্য করেছে তার সঙ্গে সমকামিতায় জড়াতে।
রুপার বাবা নাটোর শহরের ভাবানীগঞ্জ বাসিন্দা রুবেল হোসেন জানান, তিনি মেয়ের এ ধরনের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবগত নন।
No comments:
Post a Comment