অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম সৈকত
ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই পাকিস্তান বাঙালির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছিল। শুধুমাত্র তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে ১৯৪৭ সালে বাংলাদেশ ভারত-পাকিস্তানের সাথে পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্বপ্রকাশ করতে পারেনি। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটিকে গলাটিপে হত্যা করে পাকিস্তানের প্রদেশ হিসেবে পুর্ব পাকিস্তান নামে
আত্বপ্রকাশ করতে হয়েছিল। ১৯৪৭ সাল থেকে ১৭৯১ সালে স্বাধীনতা লাভের আগ পর্যন্ত পাকিস্তানের ইতিহাস আমরা সবাই কম বেশী জানি। পাকিস্তানের শোষণে বাঙ্গালী জাতি যখন নিষ্পেষিত, বাংঙ্গালীর কন্ঠ যখন রুদ্ধ তখন ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ আর ৩ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন জাতির অভ্যুদয় ঘটে।
বাঙালি জাতি যেন স্বাধীনতা লাভ করলেও ভবিষ্যতে মাথা তুলে দাড়াতে না পারে সে জন্য পাকিস্তানিরা কিছু রাজাকারদের সহযোগিতায় বিজয়ের দু’দিন আগে বাংলার সূর্য সন্তান বুদ্ধিজীবীদের সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। আর বাঙালিদের মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার জন্য মা-বোনদের গণহারে ধর্ষণ করতে থাকে। বাঙালিদের অসীম সাহস আর মনোবলের কাছে টিকতে না পেরে এক সময় পাকিস্তান বাহিনী পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যেসকল যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছিল তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ও নিন্দিত হয়ে রয়েছে। পরবর্তীতে এদেশে আটক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার মুচলেকা দিয়ে পাকিস্তানিরা তাদের দেশে ফিরিয়ে নেই।
কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় সকল আন্তর্জাতিক নর্ম, এথিকস, ভ্যালুকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পাকিস্তান যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তো করেনি, বিভিন্নভাবে বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। যাতে বিএনপি-জামাতের মত এদেশীয় কিছু দোসর যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি তারা সব সময় পাকিস্তানিদের ইন্ধন দিয়ে এসেছে।
স্বাধীনতার ৪০ বছর পর যখন এ দেশিয় মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচার হচ্ছে, তখন তাদের দোসর পাকিস্তানিদের গায়ে যেন ফোসকা পড়তে শুরু করছে। তাই তো তারা তাদের ষড়যন্ত্রের পরিমাণও বাড়িয়ে দিয়েছে। এদেশে যেন কোন মানবতাবিরোধি অপরাধের বিচার না হয় সে জন্য আন্তর্জাতিকভাবে তদবীর ও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তাছাড়া বাংলাদেশকে জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য জোড় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য তারা কূটনৈতিক সুবিধা ব্যবহার করছে।
সকল প্রকার কূটনৈতিক শিষ্ঠাচার তুচ্ছ করে মানবতা বিরোধি অপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র তাদের সংসদে প্রস্তাব উত্থাপন ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কর্তৃক বিবৃতি প্রদানের মধ্যেই তারা সীমাবদ্ধ থাকেনি। তারা বাংলাদেশে দূতাবাসের মাধ্যমে এজেন্ট নিয়োগ করে এদেশে জুঙ্গিবাদে মদত দিতে শুরু করে। আর সে বিষয়ে ধরা খেয়ে পাকিস্তানে নিয়োজিত বাংলাদেশী কুটনৈতিককে প্রত্যাহারে বাধ্য করে।
কূটনৈতিক সুবিধা নিয়ে এ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গতকাল পাকিস্তান দূতাবাসের এক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সকল প্রকার কূটনৈতিক শিষ্ঠাচার পায়ে দলে পাকিস্তানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তাকে তারা গুম করার চেষ্টা করে। যদিও বাংলাদেশ সরকার এদেশে নিয়োজিত পাকিস্তান দুতকে তলব করে বিষয়টির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তথাপি শুধুমাত্র প্রতিবাদ জানানো যথেষ্ট বলে মনে হয় না। তাদের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখাতে কতটা লাভ এবং না রাখলে কতটা ক্ষতি সে বিষয়গুলো এখন ভেবে দেখার সময় হয়ছে। কুটনৈতিক সম্পর্ক সম্পন্নরুপে ছিন্ন না করলেও স্থগিত রাখার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।
কারণ পাকিস্তান এত সহজে তার পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়া থেকে বিরত থাকবে বলে মনে হয় না। তাই নিত্য নতুন ষড়যন্ত্রের ফন্দি আটকে থাকবে এবং সুযোগ পেলে যে কোনভাবে মরণ কামড় দেয়ার চেষ্টা করবে। কুকুরের লেজ যেমন সোজা হয় না, পাকিস্তানের চরিত্রও তেমন পরিবর্তন হবে না। আসলে পাকিস্তান কখনও শুধরাবে না!
ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই পাকিস্তান বাঙালির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছিল। শুধুমাত্র তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে ১৯৪৭ সালে বাংলাদেশ ভারত-পাকিস্তানের সাথে পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্বপ্রকাশ করতে পারেনি। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটিকে গলাটিপে হত্যা করে পাকিস্তানের প্রদেশ হিসেবে পুর্ব পাকিস্তান নামে
আত্বপ্রকাশ করতে হয়েছিল। ১৯৪৭ সাল থেকে ১৭৯১ সালে স্বাধীনতা লাভের আগ পর্যন্ত পাকিস্তানের ইতিহাস আমরা সবাই কম বেশী জানি। পাকিস্তানের শোষণে বাঙ্গালী জাতি যখন নিষ্পেষিত, বাংঙ্গালীর কন্ঠ যখন রুদ্ধ তখন ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ আর ৩ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন জাতির অভ্যুদয় ঘটে।
বাঙালি জাতি যেন স্বাধীনতা লাভ করলেও ভবিষ্যতে মাথা তুলে দাড়াতে না পারে সে জন্য পাকিস্তানিরা কিছু রাজাকারদের সহযোগিতায় বিজয়ের দু’দিন আগে বাংলার সূর্য সন্তান বুদ্ধিজীবীদের সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। আর বাঙালিদের মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার জন্য মা-বোনদের গণহারে ধর্ষণ করতে থাকে। বাঙালিদের অসীম সাহস আর মনোবলের কাছে টিকতে না পেরে এক সময় পাকিস্তান বাহিনী পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যেসকল যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছিল তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ও নিন্দিত হয়ে রয়েছে। পরবর্তীতে এদেশে আটক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার মুচলেকা দিয়ে পাকিস্তানিরা তাদের দেশে ফিরিয়ে নেই।
কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় সকল আন্তর্জাতিক নর্ম, এথিকস, ভ্যালুকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পাকিস্তান যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তো করেনি, বিভিন্নভাবে বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। যাতে বিএনপি-জামাতের মত এদেশীয় কিছু দোসর যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি তারা সব সময় পাকিস্তানিদের ইন্ধন দিয়ে এসেছে।
স্বাধীনতার ৪০ বছর পর যখন এ দেশিয় মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচার হচ্ছে, তখন তাদের দোসর পাকিস্তানিদের গায়ে যেন ফোসকা পড়তে শুরু করছে। তাই তো তারা তাদের ষড়যন্ত্রের পরিমাণও বাড়িয়ে দিয়েছে। এদেশে যেন কোন মানবতাবিরোধি অপরাধের বিচার না হয় সে জন্য আন্তর্জাতিকভাবে তদবীর ও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তাছাড়া বাংলাদেশকে জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য জোড় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য তারা কূটনৈতিক সুবিধা ব্যবহার করছে।
সকল প্রকার কূটনৈতিক শিষ্ঠাচার তুচ্ছ করে মানবতা বিরোধি অপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র তাদের সংসদে প্রস্তাব উত্থাপন ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কর্তৃক বিবৃতি প্রদানের মধ্যেই তারা সীমাবদ্ধ থাকেনি। তারা বাংলাদেশে দূতাবাসের মাধ্যমে এজেন্ট নিয়োগ করে এদেশে জুঙ্গিবাদে মদত দিতে শুরু করে। আর সে বিষয়ে ধরা খেয়ে পাকিস্তানে নিয়োজিত বাংলাদেশী কুটনৈতিককে প্রত্যাহারে বাধ্য করে।
কূটনৈতিক সুবিধা নিয়ে এ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গতকাল পাকিস্তান দূতাবাসের এক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সকল প্রকার কূটনৈতিক শিষ্ঠাচার পায়ে দলে পাকিস্তানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তাকে তারা গুম করার চেষ্টা করে। যদিও বাংলাদেশ সরকার এদেশে নিয়োজিত পাকিস্তান দুতকে তলব করে বিষয়টির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তথাপি শুধুমাত্র প্রতিবাদ জানানো যথেষ্ট বলে মনে হয় না। তাদের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখাতে কতটা লাভ এবং না রাখলে কতটা ক্ষতি সে বিষয়গুলো এখন ভেবে দেখার সময় হয়ছে। কুটনৈতিক সম্পর্ক সম্পন্নরুপে ছিন্ন না করলেও স্থগিত রাখার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।
কারণ পাকিস্তান এত সহজে তার পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়া থেকে বিরত থাকবে বলে মনে হয় না। তাই নিত্য নতুন ষড়যন্ত্রের ফন্দি আটকে থাকবে এবং সুযোগ পেলে যে কোনভাবে মরণ কামড় দেয়ার চেষ্টা করবে। কুকুরের লেজ যেমন সোজা হয় না, পাকিস্তানের চরিত্রও তেমন পরিবর্তন হবে না। আসলে পাকিস্তান কখনও শুধরাবে না!
============================================================ Advocate Shahanur Islam | An Young, Ascendant, Dedicated Human Rights Defender, Lawyer and Blogger in Bangladesh, Fighting for Ensuring Human Rights, Rule of Law, Good Governance, Peace and Social Justice For the Victim of Torture, Extra Judicial Killing, Force Disappearance, Trafficking in Persons including Ethnic, Religious, Sexual and Social Minority People.