সমকামিতা হল একটা যৌন
প্রকারভেদ। প্রকৃতিতে নারী-পুরুষের যৌন কাঠামোর বাইরে ও ভিন্ন
ধরনের যৌন কাঠামো আছে। তার মধ্যে রয়েছে পুরুষ-পুরুষ
সম্পর্ক, আর নারী-নারী সম্পর্ক, যারা নারী বা পুরুষ
উভয়ের প্রতি আকৃষ্ট এবং ট্রান্সজেন্ডার আমরা যাদের হিজড়া
বলি। এসবই প্রাকৃতিক ব্যাপার তার জীনগত ভিত্তি আছে, প্রানী বৈচিত্র্যগত ভিত্তি
আছে.
আমাদের সমাজের অধিকাংশই মনে করে সমকামিতা একটি অসামাজিক কাজ, এক ধরনের বিকৃতি বা ধর্ম বিরুদ্ধ কাজ। আসলে তারা ভুল চিন্তা করেন। কারন যৌনতাকে তারা সমাজ দিয়ে বিচার করে। যৌনতা সমাজ দিয়ে বিচার করলে চলবে না, এটাকে বিচার করতে হবে প্রকৃতি দিয়ে। যৌনতা প্রকৃতি নির্ধারিত ব্যাপার। সমকামি যৌনতা প্রকৃতিগতভাবে খাপ খাইয়ে মানুষের সহজাত মানসিকতা থেকে এসেছে। এটাকে শুধু সমাজ বা সাংস্কৃতিক চিন্তা দিয়ে বিচার-বিবেচনা করলে আমাদের ভুল হবে।
আমাদের দেশের মানুষ যেহেতু এখনো বিজ্ঞান সম্পর্কে এতটা জ্ঞাত নয়, এখনো সবকিছু ধর্ম বা সমাজের বিবেচনায় চলে এবং ধর্ম ও সামাজিক বিচার দিয়ে সবকিছু যাচাই করা হয় সেজন্য বিজ্ঞানের আগে প্রভাব খাঁটায় সমাজ বা ধর্ম। তাই সমাজ বা ধর্ম নয় আমাদের ভাবনায় নিয়ে আসা উচিৎ বিজ্ঞান। সমকামিতাকে প্রকৃতি পারমিট করে কি না সেটা দিয়ে আমাদের বিবেচনা করা দরকার সমাজ বা ধর্ম দিয়ে নয়।
প্রশ্ন হলো সবাই যদি সমকামি হয় তাহলে প্রজাতি নিয়ন্ত্রণের কি হবে? এটা একটা বোকার মতো প্রশ্ন। কারন, প্রকৃতির সকল মানুষ একই সাথে কখনো সমকামি হচ্ছে না, এটা হবার সম্ভাবনা ও খুবই কম, এটা বৈচিত্র্যগত যৌনতার ব্যাপার, তবে অস্বাভাবিক নয়। পৃথিবীতে বেশীরভাগ মানুষরা জীনগতভাবে বিষমকামী। এটা একটা ন্যাচারাল অর্ডার। যেভাবে সমকামিতাও এক প্রকারের সেক্সুয়াল অর্ডার এ্যাডাপটেড বাই ন্যাচারাল প্রসেস অফ হিউম্যান সেক্সুয়াল স্ট্রাকচার।
আমাদের সমাজে যারা সমকামিতার বিরোধিতা করেন তাদের এই বিরোধিতা আসার অন্যতম আরেকটা দিক হচ্ছে যৌন মানসিকতা। এরা যখন সমকামিতার ব্যাপার চিন্তা করেন তখন তারা ভাবেন উনি নিজে হয়ত সমকামিতা করছেন উনারই পরিচিত একজনের সাথে, কিংবা উনার ছেলে করছে আরেকটা ছেলের সাথে, উনার মেয়ে করছে তার বান্ধবীর সাথে। এটাকে এভাবে চিন্তা করার প্রয়োজন নাই। স্বাভাবিকভাবে নারী-পুরুষের যেমন যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠে, তেমনি সমকামিদের মধ্যে ও ব্যাপারটা একই রকম হয়ে থাকে। এখানে হুট করেই কেউ সমকামি হয়ে যায় না। তার শরীরগত ব্যাপার তাকে ঐদিকে নিয়ে যায়।যেভাবে আমার মত স্বাভাবিক একজন পুরুষ এগিয়ে যায় আমার মতই নারীর দিকে ।
এখানে আরেকটা বিষয় ও খুব গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হল যৌন কাঠামোর আধিপত্যবাদী মানসিকতা, যেহেতে নারী-পুরুষ যৌন প্রকরণ এখানে একটা ডমিনান্ট ফ্যাকটর ফলে সেটা অন্যান্য প্রকরণের উপর তার আধিপত্য খাটাতে চায়। ৪০, ৫০, ৬০ এর দশকে ইউরোপের দেশগুলো এই আধিপত্যকে ভেঙ্গে গেইজম আর লেসবিয়ানিজম প্রতিষ্টা করেছে, পুরো বিশ্ব আগামীতে সেই দিকেই হাঁটবে, নিজেদের অধিকার প্রতিষ্টা করবে, বাংলাদেশে মাত্র তার ডেউ লেগেছে, বাঁধ ভাঙ্গতে সময় দরকার।
========================================================================
Advocate Shahanur Islam | An Young, Ascendant, Dedicated Human Rights Defender, Lawyer and Blogger in Bangladesh, Fighting for Ensuring Human Rights, Rule of Law, Good Governance, Peace and Social Justice For the Victim of Torture, Extra Judicial Killing, Force Disappearance, Trafficking in Persons including Ethnic, Religious, Sexual and Social Minority People.